আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম শাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবে। এ লক্ষ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে রংপুরে। পথ ঘাট ছেয়ে গেছে নির্বাচনি গেট, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ছয় জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কাছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বসে নেই বিএনপির নেতারাও।
রংপুর নগরী ঘুরে দেখা গেছে, সিটি নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয় লোক জনের সেবার মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। হাট-বাজার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন তারা। মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রায় এক ডজন নেতা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ছয় জন, জাতীয় পার্টির এক জন, বিএনপির তিন জন ছাড়াও জাসদ, বাসদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। তারা জনসমর্থন আদায়, দলীয় মনোনয়ন চেয়ে নগরীর সড়কে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও স্টিকার লাগিয়েছেন। পাড়া-মহল্লাতে সভা-সমাবেশ করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও রংপুর সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের দলের দুই-এক জন নেতা প্রকাশ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নির্বাচনসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ সিটি নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মধ্যে। বিএনপি এবারের নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নাও নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, রংপুর পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠন হয় ২০১২ সালের ২৮ জুন। প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ঐ বছর ২০ ডিসেম্বরে। প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু। বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ভোটার রয়েছে ৪ লাখের বেশি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন।
Leave a Reply