ম্যাচটা জিততে হয়েছিল বেশ কষ্ট করেই। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বড় জয়ই পেল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতের মোটামুটি মানের সংগ্রহের পর বোলাররা এনে দিয়েছেন এই জয়।
দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ৩২ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের সামনে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের বেশি করতে পারেনি আরব আমিরাত।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় টাইগাররা। ৯ বলে ১ ছক্কা ও চারে ১২ রান করে আরিয়ান লাকরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর নিজের ইনিংসকে লম্বা করতে পারেননি লিটন দাসও। ৪ চারে ২০ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ দুটি শট খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। কিন্তু তিনিও আউট হয়ে যান ১০ বলে ১৮ রান করে। হাফ সেঞ্চুরির পথে ছোঁটা মিরাজ আউট হন অনেকটা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে। ৫ চারে ৩৭ বলে ৪৬ রান করা এই ব্যাটার আউট হন আম্পায়ারের দেওয়া বাজে সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হয়ে।
শেষদিকে ১ চার ও ছক্কায় ১৩ বলে ২১ রান করেন ইয়াসির আলি। ১০ বলে ১৯ রান আসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাতের। দলীয় ৯ রানেই ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটার চিরাগ সুরি। ১০ বলে ৫ রান করা এই ব্যাটারের ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন নাসুম আহমেদ। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মোহাম্মদ ওয়াসেমও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৬ বলে ১৮ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
তিন নম্বরে খেলতে নামা আরিয়ান লারকা ৯ বলে ৪ রান করে শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেনের। ২৯ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর অবশ্য ইনিংসের হাল ধরেন রিজওয়ান ও বাসিল হামিদ। দুজন মিলে গড়ে তুলেন ৯০ রানের জুটি।
তবে তাদের ব্যাটিং কখনওই ভয় ধরাতে পারেনি বাংলাদেশের মনে। ধীরগতির ব্যাটিং রান তোলার গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছিল না। ৪ চারে ৪০ বলে ৪২ রান করে আউট হয়ে যান বাসিল। ফিফটি তুলে নেন রিজওয়ানের। সমান ২ চার ও ছক্কায় ৩৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু এড়াতে পারেননি দলের হার।
Leave a Reply